মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
রফতানি আয়ে ধাক্কা লেগেছে চলতি অর্থবছরের এপ্রিলে। এই মাসে রফতানি আয় নেমে দাঁড়িয়েছে ৩০১ কোটি ডলারে। এটি চলতি অর্থবছরের সর্বনিম্ন আয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এপ্রিলে টানা ১১ দিনের ঈদের ছুটিতে উৎপাদন বন্ধ থাকায় রফতানি আয় কমেছে। তবে, ১১ দিনের বন্ধের পরও রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি দশমিক ৮৬ শতাংশ। পোশাকের রফতানি প্রবৃদ্ধিও ১০ শতাংশ। মে মাস থেকে রফতানি আয় স্বাভাবিক থাকবে বলে মনে করছেন রফতানিকারকরা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এপ্রিল মাসের হালনাগাদ রফতানি আয়ের তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে সদ্য শেষ হওয়া মাসে রফতানি আয় কমে দাঁড়িয়েছে ৩০১ কোটি ডলারে। আগের মাসের একই সময়ে রফতানি আয় ছিল ২৯৯ কোটি ডলার। সে হিসেবে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি দশমিক ৮৬ শতাংশ।
টানা ১০ মাসে রফতানি আয় ছাড়িয়েছে ৪০ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের একই সময়ে রফতানি আয় ছিল ৩৬ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রফতানি আয় বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
ইপিবির এপ্রিল মাসের তথ্য বলছে, বাংলাদেশের রফতানি আয়ের প্রধান চালিকাশক্তি তৈরি পোশাক রফতানি এপ্রিলে ২৩৯ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। আগের বছরের এপ্রিলের তুলনায় এ খাতের রফতানি প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ সময় নিট পোশাকের রফতানি ৫ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পর ১৩১ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। তবে নিট পোশাকে রফতানি আয় বাড়লেও নেতিবাচক ধারায় রয়েছে ওভেন পোশাকে। ওভেনে এ মাসে প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ কমে ১০৮ কোটি ডলার হয়েছে।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সদ্য সমাপ্ত এপ্রিলে তৈরি পোশাক, চামড়াবিহীন জুতা, হিমায়িত খাদ্য ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি বাড়লেও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্লাস্টিক পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি কমেছে। তবে পোশাক রপ্তানিতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়ার ফলে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি কাছাকাছি রয়েছে। এ মাসে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রফতানি ঋণাত্মক ধারায় গেছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)