বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন চলছে। গত ১২ নভেম্বর থেকে অনলাইনে এ আবেদন করতে পারছে শিক্ষার্থীরা। এ প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সরকারি স্কুলে আবদেনের পরিমাণ বেশি।
এর মধ্যে প্রথম ৫ দিনে (১২-১৬ নভেম্বর) মোট ৩ লাখ ৬১ হাজার ৪১৯ জন শিক্ষার্থী ৫ লাখ ৮৩ হাজার ৫৪৯টি স্কুলে ভর্তির জন্য পছন্দ দিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে সরকারি স্কুলগুলোতে। সরকারি স্কুলের মধ্যে ১ লাখ ৮ হাজার ৬৬২টি আসন। এর বিপরীতে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত আবেদন করেছে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮৭ জন শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে বেসরকারি স্কুলে ১ লাখ ৬ হাজার ৬৩২ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। তারা ২ লাখ ২৩৭টি স্কুল চয়েজ (পছন্দ) দিয়েছে। এই আবেদন প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
সরকারি স্কুলে আবেদন বেশি
প্রতি বছর ন্যায় এবারও সরকারি স্কুলে ভর্তিতে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসন সংখ্যা কম হলেও আবেদন পড়ে তুলনামূলক বেশি। এবার ৬৮০টি সরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে মোট আসন ১ লাখ ৮ হাজার ৬৬২টি। এর বিপরীতে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত আবেদন পড়েছে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮৭ জন শিক্ষার্থী। নিয়ম অনুযায়ী— একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৫টি স্কুল চয়েজ (পছন্দ) দিতে পারবে। তবে এ পর্যন্ত আবেদন করা শিক্ষার্থীরা ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩১২টি চয়েজ ফরম পূরণ করেছে।
বেসরকারি আসন বেশি আবেদন কম
লটারির জন্য অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরুর পর থেকে প্রতি বছরই বেসরকারি স্কুলে শূন্য আসনের চেয়েও কম আবেদন জমা পড়ে। এবারও সেই ধারা দেখা যাচ্ছে। প্রথম ৫ দিনে বেসরকারি স্কুলে মাত্র ১ লাখ ৬ হাজার ৬৩২ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। তারা ২ লাখ ২৩৭টি স্কুল চয়েজ (পছন্দ) দিয়েছে।
মাউশি সূত্র জানায়, এ বছর সারাদেশের ৪ হাজার ৯৪৫টি বেসরকারি স্কুলে মোট ভর্তিযোগ্য আসন ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭১টি। সেই হিসেবে তুলনামূলক আবেদনের হার কম।
রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার উপ-পরিচালক আজিজ উদ্দিন জানান, টেলিটক ভর্তি আবেদনের সংখ্যা আমাদের জানায়। তারা প্রতি দু-দিন পর পর তথ্য দেয়।
তিনি জানান, প্রথম দিনের আবেদনের সংখ্যা কম থাকে। শেষের দিকে এ আবেদনের সংখ্যা বাড়বে।
আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর একটি ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীদের বাছাই ও ভর্তি করা হবে। এ বছর ভর্তির আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা। টেলিটক সিম ব্যবহার করে এই ফি পরিশোধ করতে হবে। ডিজিটাল লটারির পর আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ভর্তি প্রক্রিয়া; চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
প্রথম ধাপে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ২২-২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি চলবে এবং দ্বিতীয় ধাপের তালিকা থেকে ভর্তি চলবে ২৬-৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
https://gsa.teletalk.com.bd/ এই লিঙ্কে গিয়ে শিক্ষার্থীরা সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের জন্য আলাদাভাবে আবেদন করতে পারবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)