শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সার্বজনীন পেনশন স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং এ প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (মাভাবিপ্রবিশিস)।
আজ রবিবার (২৬ মে) সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মসূচীর নেতৃত্ব দেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ.এস.এম সাইফুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মাসুদার রহমান। কর্মসূচীতে অধ্যাপক লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক, অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করিম, অধ্যাপক ড. লুৎফুন্নেসা বারি,নুরজাহান খাতুন বক্তব্য প্রদান করেন।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. এস. এম. সাইফুল্লাহ বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব নতুন শিক্ষক যোগদান করবেন তারা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় অন্তর্ভুক্তি হলে তারা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ স্কিম চালু হলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় আসতে নিরৎসাহিত হবেন।
আমি মনে করি সার্বজনীন পেনশন স্কিম যদি হয়েই থাকে তাহলে সকলের জন্যই হওয়া উচিত শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্যে না।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা এবং তাদেরকে ন্যাক্কার জন্য পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দেওয়ার বিরুদ্ধে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়কে সার্বজনীন পেনশন স্কিম থেকে নাম প্রত্যাহার ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কিলের দাবি জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, দাবী মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলতেই থাকবে।
প্রফেসর ড. মো. ফজলুল করিম বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার মান এমনিতেই নিচের দিকে ধাবিত হচ্ছে, এ পেনশন স্কিম চালু হলে আরও নিচের দিকে ধাবিত হবে। আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় শুধু মেধাবীরাই আসে, আর তাদের সাথে যদি এরকম বৈষম্যমুলক আচরণ করা হয়, তাহলে শিক্ষকতা পেশায় কখনোই মেধাবীরা আসবে না। এর ফলে জাতি মেধাশূন্য হয়ে পড়বে।
আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় মেধাবীদের পেশাগত সুযোগ-সুবিধা সংবলিত একটি স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রবর্তন করা হোক, এবং সর্বজনীন পেনশন স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রত্যাহার করা হোক।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)