রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপরও চড়াও হয়েছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) নেতাকর্মীরা। এ সময় তথ্য ও ছবি সংগ্রহে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি সাংবাদিকদের ধারণকৃত নানা ধরনের তথ্য মুছে ফেলারও অভিযোগ উঠেছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে ড্যাবের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশীদ।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে অধিদপ্তরের সামনে তাদের অবস্থান কর্মসূচির তথ্য ও ছবি সংগ্রহের সময় ড্যাবের চিকিৎসকদের বাধার মুখে পড়েন সংবাদকর্মীরা।
জানা গেছে, ড্যাব ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচির তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করতে সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যান মেডিভয়েসের নিজস্ব প্রতিবেদক নূর এ আলম নুহাশ ও ক্যামেরাপারসন আবু সাহিদ। এ সময় কয়েকজন চিকিৎসক তাদের সংবাদ সংগ্রহে বাধা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে তাদের ওপর চড়াও হয় ড্যাব সদস্যরা। চিকিৎসকদের সঙ্গে বহিরাগতরাও এতে অংশ নেয়।
হেনস্তার শিকার সাংবাদিকরা জানান, এনডিএফ ও ড্যাবের কর্মসূচির ভিডিও নিতে গেলে জোর করে ক্যামেরায় হাত দেওয়ার পাশাপাশি ধারণ করা বেশ কিছু ভিডিও ডিলিট করে দেন ড্যাবের নেতাকর্মীরা।
এদিকে সাংবাদিকদের ওপর হেনস্তার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, মাত্রই কথাটা শুনলাম। খুবই অদ্ভুত লাগছে। কানকে বিশ্বাস করাতে পারছি না। এটা কে করেছে? আমি এটা দেখছি। অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এটি দেখবো আমি।
অধ্যাপক হারুন অর রশীদ বলেন, আজকে দুই পক্ষ এখানে প্রোগ্রাম করবে। এটা আমরা আলোচনার ভিত্তিতেই ঠিক করে দিয়েছি। ড্যাব সকালে ও এনডিএফ দুপুর ১২টার পরে কর্মসূচি পালন করবে, যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সৃষ্টি করে কেউ সুযোগ নিতে না পারে। এর মধ্যে সাংবাদিকদের সঙ্গে অযাচিত আচরণের খবরটি দুঃখজনক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিকিৎসকদের দুই গ্রুপের চলমান কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বাধার শিকার হওয়ার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএইচআরএফ) সভাপতি রাশেদ রাব্বি ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।
সংগঠনটির নেতারা জানান, এই ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে। যা একটি গণতান্ত্রিক সমাজের মৌলিক অধিকারগুলোর বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত। সংবাদমাধ্যমের কাজ সত্য ও সঠিক তথ্য তুলে ধরা, যা সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা এবং জনগণের অধিকার নিশ্চিত করার অপরিহার্য অংশ। সংবাদকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে হুমকি ও বাধা স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে অন্তরায়।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তারা বলেন, অনতিবিলম্বে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। একই সঙ্গে সকল সাংবাদিককে স্বাধীনভাবে পেশাগত কাজের অধিকার ও নিরাপত্তা প্রদানে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)