শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
পোল্যান্ডে সাবেক দুই মন্ত্রীকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। তারপর তাদেরকে প্রেসিডেন্টের প্যালেস থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) পোল্যান্ডের পুলিশ প্রেসিডেন্ট প্যালেসে ঢুকে ওই দুই অভিযুক্ত রাজনীতিককে গ্রেফতার করে। দুজনেই সাবেক মন্ত্রী। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামিনস্কি এবং সাবেক স্টেট সেক্রেটারি ওয়াসিক। খবর এপির
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টুস্ক অভিযোগ করেছিলেন, ওই দুই সাবেক মন্ত্রীকে তিনি জেলে পাঠাতে চান। কিন্তু দক্ষিণপন্থি প্রেসিডেন্ট ডুডা বাধা দিচ্ছেন। তিনি বলেছিলেন, 'প্রেসিডেন্টের কাছে আমার সবিনয়ে নিবেদন, পোল্যান্ডের কল্যাণের জন্য এই ধরনের কাজ করা বন্ধ করুন। এর ফলে পরিস্থিতি ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।'
দুই রাজনীতিককে যখন প্যালেস থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ থানায় নিয়ে যাচ্ছে, তখন দুই জায়গাতেই বিক্ষোভ দেখান ল অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির (পিআইএস) সদস্যরা। স্লোগান ওঠে, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্ত করো।
পিআইএস মুখপাত্র বলেছেন, এই দুই সাবেক মন্ত্রীকে গ্রেফতারের ঘটনা পুরোপুরি রাজনৈতিক। তাদের বেআইনিভাবে পুলিশ অপহরণ করেছে। এটা গণতান্ত্রিক রীতির বিরোধী।
দুই মন্ত্রী ২০০৭ সালে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ। ডুডা ২০১৫ সালে তাদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, এই ধরনের ক্ষমা তখনই করা যায়, যখন মামলা পুরো আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গেছে এবং উচ্চ আদালতে আবেদনও হয়েছে।
গত জুন মাসে পোল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্ট তাদের ক্ষমাপ্রার্থনার আবেদন খারিজ করে দেয়। দুজনকেই আবার বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়তে হয়। ডিসেম্বরে ওয়ারশ আদালত দুজনকেই দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়।
কিন্তু পিআইএসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ডুডার দাবি ছিল, তিনি যে ক্ষমার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেটা বৈধ। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, আইনের কাছে সকলেই সমান।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)