বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১
ছবি সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে প্রথম মেয়াদেই দেশের পরিসর বাড়াতে গ্রিনল্যান্ডকে কিনতে চেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এবার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হঢে তিনি বলপ্রয়োগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যদিও ওই ‘স্বশাসিত’ দ্বীপটি ডেনমার্কের অধিনে।
ট্রাম্পের ‘রক্তচক্ষু’ উপেক্ষা করেই এবার গ্রিনল্যান্ডের আঞ্চলিক পার্লামেন্টের ভোট শুরু হয়েছে মঙ্গলবার (১১ মার্চ)।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারপর্বেই গ্রিনল্যান্ডকে আমেরিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ভোটে জয়ের পরে দিয়েছেন বলপ্রয়োগের হুঁশিয়ারিও।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই ‘রক্তচক্ষু’ উপেক্ষা করেই এবার গ্রিনল্যান্ডের আঞ্চলিক পার্লামেন্টের ভোটপর্ব শুরু হল। ইউরোপের দেশ ডেনমার্কের তত্ত্বাবধানেই মঙ্গলবার ‘গ্রিনল্যান্ড স্বশাসিত অঞ্চলের’ আইনসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
ডেনমার্কের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৩০০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ‘বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ’ প্রায় ৩০০ বছর ধরে কোপেনহাগেনের নিয়ন্ত্রণে।
অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলি পরিচালনা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করেন দ্বীপটির স্বায়ত্তশাসিত কর্তৃপক্ষ। আর পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষানীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয় ডেনমার্ক সরকার।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত কয়েক মাসে একাধিকবার ডেনমার্ক দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে এই ভোটপর্ব ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।
৩১ আসনের গ্রিনল্যান্ড পার্লামেন্টে চার বছর অন্তর নির্বাচন হয়। দ্বীপের মোট জনসংখ্যা ৫৬ হাজার। ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের ‘জাদু সংখ্যা’ ১৬ আসন।
এবারে নির্বাচনে মোট ছ’টি দলের প্রার্থীরা লড়ছেন। ঘটনাচক্রে, তার মধ্যে পাঁচটি দলই ডেনমার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গ্রিনল্যান্ডের পূর্ণ স্বাধীনতার পক্ষে।
নির্বাচনের ফলাফল বুধবার জানা যাবে। গ্রিনল্যান্ডে বর্তমানে ক্ষমতায় আছে কমিউনিটি অব দ্য পিপল (আইএ) এবং ফরোয়ার্ড (এস) দলের জোট সরকার। গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন মিউটে এগেদে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)