শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ শিবিরে পুলিশি দমনপীড়নের সময় গ্রেপ্তার হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জিল স্টেইন। ক্যাম্পাসে নতুন করে গ্রেপ্তার হওয়া ১০০ জনের মধ্যে স্টেইন ছিলেন।
২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী স্টেইন। প্রচারণা ব্যবস্থাপক এবং একজন ডেপুটিসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও স্টেইনের নির্বাচনী দল শিক্ষার্থীদের দাবি এবং তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে সমর্থন করে।
বেশ কিছু মার্কিন সংবাদমাধ্যমের তথ্য বলছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যায় ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ না করতে, ইসরায়েলে বিনিয়োগ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভকারীরা যখন নানা পদক্ষেপ নিচ্ছিল, তখন পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা ছবিতে দেখা গেছে, সশস্ত্র পুলিশ স্টেইনকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এসব ছবিতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশি দমনপীড়ন, সহিংসতা ও তাদের গ্রেপ্তারের দৃশ্যও ফুটে উঠেছে।
ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ সমর্থনে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের সমর্থনে প্রতিবাদে যোগ দেন স্টেইন। সেখানে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, দাবি না পূরণ হওয়া পর্যন্ত তারা চলে যাবেন না।
গ্রেপ্তারের আগে ধারণ করা একটি ভিডিওতে গ্রিন পার্টির এই প্রার্থী জানান, তিনি শিক্ষার্থীদের এবং তাদের সাংবিধানিক বাক স্বাধীনতার অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। স্টেইন বলেন, আমরা এখানে সেই শিক্ষার্থীদের কাতারে দাঁড়াতে যাচ্ছি- যারা গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে, মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে, গণহত্যা বন্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে।
জিল স্টেইনের যোগাযোগ পরিচালক ডেভিড শোয়াব বলেছেন, স্টেইন শনিবার বিকেলে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ কিছুক্ষণ পরেই গ্রেপ্তার শুরু করে।
তিনি বলেন, এটি লজ্জাজনক যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনগুলো তাদের নিজস্ব শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগকে সমর্থন করছে। তারা কেবল শান্তি, মানবাধিকার এবং আমেরিকান জনগণ ঘৃণা করে- এমন গণহত্যার অবসান চাচ্ছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১০ দিনে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে অন্তত ৯০০ ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইহুদিবাদী সরকারকে সমর্থন করা ওয়াশিংটনের নীতির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরাও বিক্ষোভে নামছেন।
নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে শুরু হওয়া ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ এখন ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অংশের ক্যাম্পাস এবং একাডেমিক প্রতিষ্ঠানেও ছড়িয়ে পড়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)