শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আনসারদের ঢেলে সাজানোর সুযোগটা নেবে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এসময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনে সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আনসার ও পুলিশ। এ মুহূর্তে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার জন্য পুলিশ ও আনসার প্রস্তুত কিনা? এমন প্রশ্ন জবাবে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের ক্ষেত্রে পুলিশের যে ভূমিকা আপনারা জানেন। পুলিশ নিরপরাধ এবং নিরস্ত্র ছাত্রদের উপর গুলি চালিয়েছে। আমরা সব পুলিশ প্রশাসনকে বাতিল করে দিতে পারি না। আমার একটা সংস্কার করতে পারি। এটা সংস্কারের জন্য অনেকগুলো প্রস্তাবনা পুলিশ সংস্কার কমিশন দিয়েছে। কমিশনের প্রস্তাবনাগুলো কনসালটেশনের পরে আমরা বাস্তবায়ন করব। একটা দিক হলো আমরা সংস্কার করছি। আনসারদের ঢেলে সাজানোর কিছু সুযোগ আছে। এই সুযোগটা আমরা নেব।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের বিষয়টা তো এরকম না যে আগামী মাসে দিয়ে দিচ্ছি বা তিন মাস পরে দিয়ে দিচ্ছি, আমরা বলছি প্রস্তুতি চলমান আছে। প্রস্তুতির অনেকগুলো পর্ব থাকতে পারে, হয়ত আমরা প্রশাসনিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আইন-শৃঙ্খলার প্রস্তুতি হয়ত নেওয়া হচ্ছে না। আমরা বলছি আমাদের প্রস্তুতি আছে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে নাগরিক সেবাগুলো পৌঁছে দিতে পারব। এটা আমাদের একটা বক্তব্য। পুলিশের সংস্কারের কাজ বা আনসারদের ঢেলে সাজানোর কাজ প্রক্রিয়ার অংশ। একটা সময় আমরা দেখতে যাব যে, পুলিশে আগের ভূমিকা যেন না হয়।
মাহফুজ আলম বলেন, প্রশাসক দিয়ে জনগণের কাছে সেবা পৌঁছতে পারব কিনা, এই বিষয়ে আমাদের সংশয় তৈরি হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন বা ইউনিয়ন পরিষদের দিকে তাকাইলে অনেক সরকারি সেবা জনগণ পাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত পাচ্ছে না। প্রশাসক দিয়ে সামলানোর একটা ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে নাগরিকদের সেবা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আমরা অগ্রসর হতে পারব।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য আপনারা অলরেডি দেখেছেন। এটা সংস্কার সাপেক্ষ। আমরা এই মাসের মধ্যে সংস্কার কমিশনগুলোর রিপোর্ট পাব। সেগুলো নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এই মাসের মধ্যেই রিপোর্ট পাব। প্রথম যে ছয়টি কমিশন হয়েছিল সেগুলো নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কমিশন। কমিশনগুলো যে রিপোর্ট দেবে তা কিন্তু নির্বাচনকেন্দ্রিক। কমিশনগুলো যে রিপোর্ট দেবে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করব। রাজনৈতিক দলগুলো ঠিক করবে যে কতটা সংস্কার আমরা করতে চাই। সংস্কারের পরিধির ভিত্তিতেই নির্বাচনের তারিখ ঠিক হবে।
# মির্জা সাইমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)