শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
কোটা আন্দোলনের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঘোষিত সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক ‘বাংলা ব্লকেড’ শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে কোটা বৈষম্য দূর করে অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম ৫ শতাংশ কোটা বহাল রেখে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবি আদায়ে এ কর্মসূচিতে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। সর্বাত্মক ‘বাংলা ব্লকেড’ অনুযায়ী আজ সারাদিন দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থান অবরোধ করা হবে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের পাশাপাশি হাইওয়ে ও রেলপথও এ ব্লকেডের আওতায় থাকবে।
এদিকে সকাল ১০টায় শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হতে দেখা যায়। পরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ, চানখারপুল, বাটা সিগন্যাল, মৎস্য ভবন, মিন্টু রোড, ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, বাংলামটর পেরিয়ে কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট অবরোধের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন : আজ যেসব স্থানে ‘ব্লকেড’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা ‘একাত্তরের পথ ধরো, বাংলা ব্লকেড সফল করো’, ‘ব্লকেড ব্লকেড, বাংলা ব্লকেড’, ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক’, ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে ৬ জুলাই শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি শেষে সারা দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, মহাসড়ক অবরুদ্ধ করার ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। যাকে ‘বাংলা ব্লকেড’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যে কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুইদিন শাহবাগ, চানখারপুল, ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, বাংলামটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, মিন্টু রোড, মৎস্য ভবন, অবরোধ করেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া ইডেন ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা নিউমার্কেট-সাইন্সল্যাব অবরোধ করেন।
কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি হলো– সব গ্রেডে সব প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)