মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিগত আওয়ামী শাসনকালে স্বাস্থ্যখাতে আর্থিক দুর্নীতি, অনিয়মসহ প্রশাসনিক দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতিসাধনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাকে দলীয়করণের আবরণে আচ্ছাদিত করা হয়। যার কারণে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা নেওয়ার পরিবর্তে মানুষ উচ্চমূল্যের বেসরকারি চিকিৎসা নিতে বাধ্য হতো।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা তুলে ধরে এসব কথা বলেন তিনি।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোশাররফ বলেন, বিগত সরকারের আমলে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের ফলে মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সমগ্র স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় তীব্র বিদেশমুখিতা সৃষ্টি হয়েছে। চিকিৎসক ও রোগীর সম্পর্কের হয়েছে অবনতি৷ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানসমূহ হয়ে পড়েছে অনিরাপদ৷
তিনি বলেন, এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে প্রয়োজন সুষ্ঠু তদন্ত ও পর্যালোচনার মাধ্যমে দুর্নীতির নিরপেক্ষ অনুসন্ধান ও দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির মধ্যে আনা।
স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে বিএনপির পক্ষ থেকে (১-৩ বছর) স্বল্পমেয়াদি কিছু পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, প্রতিরোধের মাধ্যমে সুরক্ষিত স্বাস্থ্য একটি কার্যকর পরিকল্পনা-প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়ে ইউনিয়ন সাব-সেন্টার উন্নয়ন ও পর্যাপ্ত সংখ্যক ‘গ্রামীণ স্বাস্থ্য সহকারী’ নিয়োগ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে- সেবার গুণগত মান উন্নয়ন এবং কার্যকরী প্রাথমিক রেফারেল সেন্টার হিসেবে রূপান্তর, প্রয়োজনীয় বিশেষায়িত সেবা নিশ্চিত করা, পুষ্টিবিদ ও পরিকল্পিত পরিবার ও জনসংখ্যার ব্যবস্থাপনা।
বিএনপির প্রস্তাবে বলা হয়, জিপি (জেনারেল ফিজিশিয়ান) অধীনে প্রত্যেক নাগরিককে একজন সরকারি রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের অধীনে রাষ্ট্রীয় খরচে সর্বোত্তম স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের পর্যায়ক্রমিক ব্যবস্থার প্রবর্তন। কিডনি, ক্যানসার, হৃদরোগ, স্নায়ুরোগ চিকিৎসাসহ ২৪ ঘণ্টা হেল্পলাইন, জরুরি সেবা, দুর্ঘটনা পরবর্তী সেবা, দ্রুত রোগী স্থানান্তর ব্যবস্থাপনা।
স্বাস্থ্যসেবায় ন্যায় বিচার, রোগী ও সেবা প্রদানকারীর জন্য সমতাভিত্তিক আইন প্রণয়ন কথা তুলে ধরা হয় বিএনপির প্রস্তাবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)