শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
অপকর্ম করেছে বলেই সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আওয়ামী লীগ প্রথমে রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করেছে পরে বহুদলীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থাকে বাতিল করে। বাকশালের সেই প্রচেষ্ট এখনও অব্যাহত। আওয়ামী লীগের সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে এতো ভয় কেন?’
ফখরুল বলেন, উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিজেরা নিজেরা লড়াই করছে। যে নির্বাচনে কোনো প্রতিযোগিতা নেই, কোনো পরিবর্তন হবে না, সে নির্বাচনে গিয়ে কী লাভ। তাই জনগণ সে নির্বাচনেও যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও ভারতীয় অধিপত্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে শফিউল আলম প্রধানের ভূমিকা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি ক্ষমতা চায় না, সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন চায়। আর এটি হলে জনগণ যাকে নির্বাচিত করবেন তাদেরকেই মেনে নেব। অপকর্ম করছে বলেই সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায় সরকার। সামনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।
গণতন্ত্রের লেবাসে আওয়ামী লীগ আবারও বাকশাল কায়েম করছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা বলছেন-নির্বাচনে বিএনপি না আসলে কী করব! কিন্তু এমন নির্বাচন তারা করছে যে কোনো দলই সেটিতে অংশগ্রহণ করতে চায় না। যারাও আছে, তাদেরকে ভাগবাটোয়ারা দিয়ে রাখা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, বিএনপি বারবার বলেছে সরকার দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। দুর্নীতিসহ নানা কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
সরকার দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষমতা টিকে রাখতে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। ব্যবহার করার চেষ্টা করছে সেনাবাহিনীকে, ব্যবহার করার চেষ্টা করছে বিচার বিভাগ ও প্রশাসনকে। ত্রাস সৃষ্টি করে ভয়ের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে তারা।
জিয়াউর রহমান বাকশালে যোগ দিয়েছেন এরকম মিথ্যাচার করা হচ্ছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, তা সঠিক নয়। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এই ইতিহাস সব জায়গায় আছে। হীনমন্যতা থেকে জিয়াউর রহমানকে ছোট করা হয়।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)