শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জর্ডানের কাছে দক্ষিণ কোরিয়ার অঘটনের বিদায়ের পরেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল এশিয়ান কাপ ফুটবলে এবার দেখতে হবে অল-আরব ফাইনাল। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হওয়ার সুযোগ ছিল ইরান এবং কাতারের সামনে। সেমির সেই লড়াই হল সেমির মতো করেই। পাঁচ গোল আর লালকার্ডের রোমাঞ্চকর লড়াই ছাপিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটল আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কাতার।
উত্তাপ ছড়ানো পাঁচ গোলের ম্যাচে শেষ সময়ের গোলে ৩-২ ব্যবধানে জয় পায় কাতার। এটি তাদের টানা দ্বিতীয় ফাইনাল। ২০২২ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে বাজে পারফর্মের পর এবার সেই একইমাঠে কাতার লিখলো দাপুটে ফুটবলের আরেক উপাখ্যান। এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের জন্য তাদের মুখোমুখি হতে হবে জর্ডানের। শনিবার রাতে লুসাইল স্টেডিয়ামে হবে প্রেস্টিজিয়াস ফাইনাল।
টানা দ্বিতীয়বার ফাইনাল খেলার মিশনে ম্যাচের শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি কাতারের। স্বাগতিক দর্শকদের নড়েচড়ে বসার আগেই ইরান পেয়ে যায় সেমির প্রথম গোল। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই সরদার আজমুনের গোলে এগিয়ে যায় ইরান। দুর্দান্ত এক বাইসাইকেল কিকে দলকে লিড এনে দেন তিনি। গোল শোধ করতে কাতার সময় নিয়েছে ১২ মিনিট।
ম্যাচের ১৬তম মিনিটে জাসেম গাবেরের শট ইরানের সাঈদ এজাতোলাহির গায়ে লেগে জালে প্রবেশ করলে সমতায় ফেরে কাতার। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে টুর্নামেন্টে নিজের পঞ্চম গোল করে কাতারকে এগিয়ে নেন আকরাম আফিফ। ২-১ গোলের লিড নিয়ে টানেলে ফেরে দুই দল। মাঝে সহজ কিছু সুযোগ মিস না করলে ফল হতে পারতো অন্যরকম।
বিরতি থেকে ফিরে সমতা আনতে খুব বেশি সময় নেয়নি ইরান। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য আলীরেজা জাহানবখশের পেনাল্টি থেকে পাওয়া গোলে সমতায় ফেরে তারা। ৮২ মিনিটে এরপর জয়সূচক গোলটি করেন আলমুইজ। কাতারের গত আসরের শিরোপা স্বপ্নের কান্ডারি ছিলেন আল-মুইজ। এবারও তিনিই দলকে টেনে নিলেন ফাইনালে।
যোগ করা সময়ে শোজায়ি খলিলজাদেহ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ম্যাচে ফেরা আরও কঠিন হয়ে পড়ে ইরানের। যদিও অতিরিক্ত হিসেবে দেওয়া ১৭ মিনিটও সমানতালেই লড়েছিল তারা। শেষ মিনিটে অবশ্য দারুণ সুযোগ পেয়েছিল ইরান, তবে জাহানবখশের শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। তাতেই ফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেলে কাতার।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)