রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১
যুব বিশ্বকাপ যেন খেলোয়াড় তৈরির কারখানা। অন্তত বাংলাদেশের সাপেক্ষে এমন তথ্য বেশ বড় রকমের সত্য। ২০০৬ সালের যুব বিশ্বকাপ খেলা সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল কিংবা মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্তম্ভ হয়ে আছেন আজো। ২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপ জেতা তাওহীদ হৃদয়, শরীফুল ইসলাম কিংবা তানজিদ তামিমদের ভাবা হচ্ছে আগামীর তারকা।
তবে সারাবিশ্বেই চিত্রটা এমন নয়। যুব বিশ্বকাপ থেকে বেরিয়ে আসা তারকাদের জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশই সবার চেয়ে এগিয়ে। আইসিসির নিজস্ব পরিসংখ্যান থেকেই বেরিয়ে এসেছে এমন চিত্র। এখন পর্যন্ত যুব বিশ্বকাপ খেলা ৪১ শতাংশ খেলোয়াড়ই জাতীয় দলের জার্সিতে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। যা টেস্ট খেলুড়ে বাকি সব দেশ থেকে অনেকটাই বেশি।
এই তালিকায় পরের নাম আফগানিস্তান। যুব বিশ্বকাপ খেলা ৩৮ শতাংশ তারকা খেলেছেন তাদের দেশের হয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে এই হার আরও বেশি। একাধিক ক্রিকেটারের নিকটাত্মীয় খেলেছেন সদ্য সমাপ্ত যুব বিশ্বকাপে। দেশটির পাইপলাইনে থাকা প্রায় সব ক্রিকেটারই যুব ক্রিকেটের অংশ। এরপরেই আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নাম। যুব বিশ্বকাপ খেলা ৩৬ শতাংশ তারকা পরবর্তীতে অভিষেক ঘটিয়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রটির হয়ে। যে তালিকায় আছেন ক্রিস গেইল, রামনরেশ সারওয়ান থেকে শুরু করে শিমরন হেটমায়ারের মতো তারকারাও।
জিম্বাবুয়ের ৩৪ শতাংশ তারকা যুব বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছেন। এরপরে আছে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার নাম। এই দুই দেশের জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছে ৩৩ শতাংশ যুব বিশ্বকাপ তারকার। নিউজিল্যান্ডের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৩২ শতাংশ। বছরখানেক আগে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া আয়ারল্যান্ডের জাতীয় দলে সুযোগ মিলেছে ৩১ শতাংশ তারকার।
ইংল্যান্ড এবং ভারতের হয়ে যথাক্রম ২৮ ও ২৭ শতাংশ যুব বিশ্বকাপ খেলা তারকা পরবর্তীতে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। বিরাট কোহলি, শিখর ধাওয়ান, যুবরাজ সিং কিংবা মোহাম্মদ কাইফের মত অনেকেই জাতীয় দলে আলো ছড়িয়েছেন। আবার উন্মুক্ত চাঁদের মতো অনেকেই ঝরে গিয়েছেন।
যুব বিশ্বকাপ থেকে জাতীয় দলে অভিষেকের তালিকায় সবার নিচে আছে অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার ২০ শতাংশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মোটে ১৮ শতাংশ যুব বিশ্বকাপ তারকা পরে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)