বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আগেই বলে দিয়েছিলেন ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালটাই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তার শেষ ওয়ানডে ম্যাচ। অজি ক্রিকেটের নির্ভরতার প্রতীক ওয়ার্নার এরপর বিদায় বলে দিয়েছেন ক্রিকেটের বনেদি ফরম্যাট টেস্টকেও। চলতি বছরই শেষ হয়েছে সেই অধ্যায়। মারকুটে ব্যাটার হিসেবে সারাবিশ্বেই খ্যাতি আছে ওয়ার্নারের। অজিদের হয়ে এখন খেলছেন শুধুমাত্র ওই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট।
ব্যাট হাতে ওয়ার্নার এখনও ফুরিয়ে যাননি সেটার প্রমাণ মিলল ওয়েস্টইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে। গতকাল (মঙ্গলবার) অস্ট্রেলিয়ার হেরে যাওয়া ম্যাচেও খেললেন ৮১ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। এমনকি হয়েছেন ম্যাচসেরা খেলোয়াড়।
তবে ওয়ার্নার জানালেন, দেশের মাটিতে এটাই ছিল শেষ। এরপর আর কখনোই অন্তত অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাকে আর টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দেখা যাবে না। এর পেছনে কারণও আছে। চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষেই যে অস্ট্রেলিয়ার জার্সি পাকাপাকিভাবে তুলে রাখবেন তিনিও। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে নিজের শেষ সিরিজেও তিনি হয়েছেন সিরিজসেরা। তখনই জানালেন নিজের অবসর পরিকল্পনার কথাটা।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ওয়ার্নারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর তিনি অবসর নেবেন কি না? উত্তরে বাঁহাতি এই ওপেনার বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমার ওখানেই শেষ। এখন তরুণদের মেলে ধরার সময়। আমাদের প্রচুর প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে।’ ৩৭ বছরের ওয়ার্নার যে নতুন দিনের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে চান সেটা স্পষ্ট।
আরেক অজি কিংবদন্তি অ্যাডাম গিলক্রিস্ট জানতে চেয়েছিলেন এটাই কি তবে নিজ দেশে ওয়ার্নারের শেষ ম্যাচ? উত্তরে ওয়ার্নার জানালেন, অবশ্যই। নিজের পরবর্তী পরিকল্পনা প্রকাশ করলেন এরপরেই, ‘নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর আইপিএলে খেলব এবং তারপর ক্যারিবিয়ানে যাব বিশ্বকাপে খেলতে।’ বিশ্বকাপের আগে ওয়ার্নারকে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে তাই আরেকবার দেখার সুযোগ আছে কেবল কিউইদের বিপক্ষে সিরিজে।
ওয়ার্নার আগেই ওয়ানডে আর টেস্টে বিদায় বলে দিয়েছিলেন। তবে সেই বিদায়েও রেখেছেন ফেরার আভাস। নিজেই জানিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন হলে ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আবার ফিরে আসবেন তিনি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)