বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
২৮ বছরের শিরোপাখরা আর্জেন্টিনা দূর করেছিল ২০২১ সালের কোপা আমেরিকার মাধ্যমে। ব্রাজিলের মাটিতে তাদেরকেই ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয় করেছিল লিওনেল মেসির দল। এরপরেই যেন ট্রফির পথে লম্বা যাত্রা শুরু করে আর্জেন্টিনা। শেষ ৪ বছরে আলবিসেলেস্তেরা ম্যাচ হেরেছে মোটে দুটি। বিপরীতে জিতেছে ৪ শিরোপা।
২০২১ সালে আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকা এবং ইতালির ইউরো জয়ের পর আবারও সামনে চলে আসে ফিনালিসিমার কথা। ১৯৯৩ সালে শেষবার দক্ষিণ আমেরিকা এবং ইউরোপের শিরোপাজয়ী দলের মধ্যে হয়েছিল এক ম্যাচের এই প্রতিযোগিতা। ডিয়েগো ম্যারাডোনার সংযোগ ছিল ইতালি ও আর্জেন্টিনা দুই দেশের সঙ্গেই।
সেই সূত্রেই ২০২২ সালের ১ জুলাই ইংল্যান্ডে বসে ফিনালিসিমার আসর। এরপর সেই একই বছর হয় বিশ্বকাপের আসর। কাতারের সেই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ৩৬ বছর পর পায় বিশ্বকাপের ছোঁয়া। ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকার শিরোপাটাও গিয়েছে আর্জেন্টিনার ঘরেই।
চলতি বছরই ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্ব গিয়েছে স্পেনের ঘরে। দুই দলের মধ্যে ফিনালিসসিমা আয়োজন নিয়ে এরপর থেকে আলোচনা হয়েছে। তবে সময় সংকটের কারণে সেই ম্যাচ আয়োজন নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। চলতি বছর থেকেই বাড়ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আকার। সেই সঙ্গে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে দল আর ম্যাচ সংখ্যাও বেড়েছে অনেকটা।
সবমিলিয়ে দুই মহাদেশীয় সেরার ম্যাচ নিয়ে ছিল বড় রকমের শঙ্কা। তবে শেষ পর্যন্ত এই ম্যাচের সম্ভাব্য এক তারিখ পাওয়া গিয়েছে। ২০২৬ সালের মার্চে ফিনালিসিমার ম্যাচে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা ও স্পেন– এমনটা জানিয়েছেন স্বয়ং আলবিসেলেস্তে কোচ লিওনেল স্কালোনি। আর্জেন্টাইন ফুটবলের বিশ্বস্ত সাংবাদিক গ্যাস্টন এদুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুই মহাদেশের চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে ফিনালিসিমা প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় ১৯৮৫ সালে। এরপর ১৯৯৩ সাল থেকে সেটি আবার বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০২২ সালে ফের দুই মহাদেশের অভিভাবক সংস্থা কনমেবল ও উয়েফার সম্মতিতে আয়োজন করা হয় ফিনালিসিমা। কিন্তু এবার ব্যস্ত সূচির কারণে তৈরি হয়েছে জটিলতা।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)