শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের প্রবেশের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনের সড়কে জড়ো হয়ে এ বিক্ষোভ শুরু করেন বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। তারপরও গত বুধবার (২৭ মার্চ) মধ্যরাতে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালায়।
যার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার (৩০ মার্চ) দুপুর থেকে আন্দোলনে নামেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় ছাত্রলীগ নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করানোর দায়ে বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাহিমকে স্থায়ী বহিষ্কারসহ ৬ দফা দাবি প্রশাসনকে লিখিত আকারে জানান তারা।
গতকাল বিক্ষোভ থেকে দাবি আদায়ে আজ দুপুর ২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কর্তৃপক্ষ দাবি না মানলে ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবিতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে এক শিক্ষার্থীর সিট বাতিলসহ তিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বুয়েট প্রশাসন।
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর ঘটনায় বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের হলের সিট বাতিল করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
পাশাপাশি বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন ও রিপোর্ট পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর টার্ম বা সেমিস্টার ফাইনালসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম চলমান রাখার সিদ্ধান্তও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)