শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সকাল কীভাবে শুরু করছেন তার ওপর নির্ভর করে সারাদিন কেমন যাবে। কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার— সবকিছুর প্রভাব পড়ে শরীরে। টানা অনিয়মের কারণে বাড়ে মেদ।
এমন কিছু খাবার আছে যা রাতে ভিজিয়ে সকালে খেলে বিপাকহার বাড়বে, ঝরবে ওজন। কোন খাবারগুলো সকালের খাদ্যতালিকায় রাখবেন চলুন জেনে নিই-
চিয়া সিডস-
প্রায় অর্ধেক ফাইবারে পরিপূর্ণ থাকে চিয়া সিডস। এটি অন্ত্রের জন্য বেশ উপকারি। আর অন্ত্রের সঙ্গে যেহেতু বিপাকক্রিয়ার সংযোগ রয়েছে তাই শারীরবৃত্তীয় অনেক কর্মকাণ্ডই স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে চিয়া। পানিতে ভেজানোর জন্য চিয়া সিডস অনেক ভারী হয়ে যায়। ফলে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি রাখে এটি।
চিয়া সিডস খাওয়ার মাধ্যমে বার বার খাওয়ার প্রবণতা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ফলে অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরে প্রবেশের আশঙ্কা থাকে না।
তিসি বীজ-
হজমের সমস্যা সমাধানে দারুণ কাজ করে ফ্ল্যাক্স সিড বা তিসি বীজ। সারারাত পানিতে তিসির বীজ ভিজিয়ে রাখলে এর পুষ্টিগুণ অনেকটা বেড়ে যায়। তিসি বীজে ভালো মাত্রায় ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। ওজন কমাতে এই দুটি উপাদান খুব গুরুত্বপূর্ণ।
কাঠবাদাম-
ওজন কমানোর জন্য অনেকেই কাঠবাদামের ওপর ভরসা রাখেন। এই বাদাম দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। ফলে বার বার খাওয়ার প্রবণতা কমে। কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। হজমশক্তি বৃদ্ধিতে এর জুড়ি মেলা ভার। প্রতিদিন সকালে ভেজানো কাঠবাদাম খেয়ে দিন শুরু করলে দ্রুত ওজন কমে।
ওটস-
ফাইবারে ভরপুর ওটস সহজে রান্না করা যায়। এটি বেশ পুষ্টিকর। ওজন কমানোর পরিকল্পনা করলে রোজ সকালে ওটস খেতে পারেন। এটি দীর্ঘসময় পেট ভর্তি রাখে। ওটসে ক্যালরির মাত্রাও অত্যন্ত কম থাকে। এতে প্রচুর ফাইবার থাকে। তাই ওটস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমে। সারারাত দুধে ওটস ভিজিয়ে রেখে সকালে এর সঙ্গে কিছু ড্রাই ফ্রুটস মিশিয়ে খেতে পারেন। উপকার মিলবে।
ওজন কমাতে চাইলে রোজ সকালের নাশতায় এসব খাবার রাখুন। তার সঙ্গে নিয়মিত ব্যায়াম করা চাই।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)