শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ফ্যাটি লিভার নীরবে আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। অনেক সময় এর কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। একজন ব্যক্তির লিভারে যখন অতিরিক্ত চর্বি জমা হয় তখনই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। লিভারে অতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি স্থায়ীভাবে লিভারের ক্ষতি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সময় মতো ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসা করা না হলে লিভার সিরোসিসের মতো প্রাণঘাতী সমস্যা দেখা দিতে পারে। অত্যাধিক অ্যালকোহল গ্রহণ, স্টেরয়েড ইনজেকশন, অতিরিক্ত ওজন, টাইপ টু ডায়াবেটিসের ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ায়। এছাড়া ফ্যাটি লিভারের আরও অনেক কারণ রয়েছে। তবে দৈনন্দিন কিছু খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপন পদ্ধতি পরিবর্তনের মাধ্যমে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।
ব্যায়াম :
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ব্যায়াম অপরিহার্য। সপ্তাহে পাঁচ দিন অন্তত ৩০ - ৪৫ মিনিটের মাঝারি বা তীব্র ধরনের ব্যায়াম যেমন দ্রুত হাঁটা, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটার চেষ্টা করা প্রয়োজন।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন :
রক্তে উচ্চ পরিমাণে শর্করার মাত্রা ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ায়। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে কম চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয় গ্রহণ করুন। এর পরিবর্তে খাদ্যতালিকায় গোটা শস্য, ফল এবং শাকসবজি রাখুন।
অ্যালকোহল গ্রহণ সীমিত করুন :
অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ লিভারের ক্ষতি করতে পারে এবং ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তবে আপনার যদি ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থাকে তবে সম্পূর্ণভাবে অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা উচিত।
খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি রাখুন:
ভাজা ও চর্বিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে খাদ্যতালিকায় বেশি বেশি করে সবুজ শাকসবজি রাখুন। ভাজাপোড়া ও চর্বিযুক্ত খাবার খেলে ক্যালরির পরিমাণ বাড়াতে পারে, যা স্থূলতা বাড়িয়ে দেয়। মাছ, বাদাম, বীজ, উদ্ভিজ্জ তেল, সয়াবিন তেল এবং ভালো ফ্যাটযুক্ত অন্যান্য খাবার লিভারের চর্বি কমাতে এবং ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত ওজন কমান:
আপনি কি জানেন লিভারের চর্বি ওজন কমিয়েও কমানো যায়? গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি জার্নালের গবেষণা অনুসারে, শরীরের ওজন ১০ শতাংশ কমালেও লিভারের চর্বি কমাতে সহায়তা করতে পারে। সেই সঙ্গে নানা ধরনের প্রদাহ কমে।সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)