মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ঝালকাঠিতে লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি বোরো ধান উৎপাদন হয়েছে। আবহাওয়া চাষের উপযোগী হওয়ায় এবার প্রতি হেক্টর জমিতে ধান পাওয়া যাচ্ছে সাড়ে ৬ মেট্রিক টন। আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়ায় সহজেই উৎপাদিত ধান ঘরে তুলতে পারছেন কৃষকরা। তবে ধানের ন্যায্য দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষকরা। কৃষি বিভাগ বলছে, সরকারি প্রণোদনা ও সঠিক পরামর্শ দেওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলার বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে এখন পাকা বোরো ধান। কোনো ধরনের প্রতিকূলতা না থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। শ্রমিক বা আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। তবে প্রথম দিকে ১ হাজার ২০০ টাকা মন দরে ধান বিক্রি কারা গেলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা দরে। শেষ পর্যন্ত এই দামও পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় কৃষকরা। তারা বলছেন, প্রতিবছর নানা অজুহাতে অধিকাংশ কৃষকের কাছ থেকে ধান নিতে চান না খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বাজারে ধান বিক্রি করতে গেলে সেখানেও মধ্যসত্বভোগীদের কারণে ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হন কৃষক। তাই উপযুক্ত দামে সরকারিভাবে সরাসরি ধান কেনার দাবি তাদের।
ঝালকাঠি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ নাজমুল হোসাইন বলেন, আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কৃষকের কাছ থেকে নির্ধারিত দামে বাছাইকৃত বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ করা হবে। এ ক্ষেত্রে অ্যাপসের মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, সরকারি প্রণোদনা ও সঠিক পরামর্শ দেওয়ায় এবছর বোরোর ফলন ভালো হয়েছে। অপেক্ষা করে বিক্রি করতে পারলে ধানের আরো ভালো দাম পাবেন কৃষক। জানান কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, এবছর জেলায় ১৩ হাজার ৭৫০ হেকক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। ৮২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন দানের উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ থেকে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)